ভানুময় চন্দ ( আসাম ) : আসামের পাথারকান্দিতে বুনো দাঁঁতালদের তান্ডব অব্যাহত। সুস্থ হাতিকে দ্রুত চিকিৎসার দাবিতে বনমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা স্থানীয়দের। গত প্রায় দু বছর ধরে পাথারকান্দির এক অসুস্থ বুনো হাতিকে নিয়ে স্থানীয় পরিবেশ প্রেমীদের মনে ক্রমশঃ উৎকন্ঠার রাশ ভারি হয়ে চললেও ব্যাপারটি নিয়ে তেমন ভাবে পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না সরকার সহ সরকারের প্রশাসনকে। অসুস্থ এই বুনো হাতিকে উপযুক্ত চিকিৎসার দাবি জানিয়ে রাজ্যের বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন স্থানীয় পরিবেশপ্রেমীরা ।জানা গেছে গত কিছুদিন থেকে পাথারকান্দি সংরক্ষিত বনাঞ্চলে পাঁচটি বুনো হাতির মধ্যে একটি বয়স্ক মহিলা হাতি অসুস্থ হয়ে পড়ে।অসুস্থ হাতিটি প্রতিদিন লোকালয়ে প্রবেশ করে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি করে চলছে । পাশাপাশি বাকি চারটি হাতি এলাকার হাতিখিরা , সলগই , সাধুকুটি , বিশ নম্বর , আট নম্বর , দুই নম্বর বৈঠাখাল , চাঁন্দখিরা লালখিরা , কালামাটি প্রমুখ স্থানে প্রতি রাতে রুট বদল করে কৃষকদের জমির ফসল সহ বাড়ির ফসলও তছনছ করে চলছে। এতে রাত জেগে পাহারা দিয়ে বাজি পটাকা পুড়িয়ে আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হচ্ছে বৃহত্তর এলাকার সাধারন জনগনকে । অথচ এদের ক্ষতিপূরণের টাকাও দিচ্ছে না সরকার। জানা গেছে স্থানীয় পাথারকান্দি আঞ্চলিক বন আধিকারিক দেবজ্যোতি নাথ গুরুতর অসুস্থ হাতিটিকে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেও তা পর্যাপ্ত পরিমাণের নয়।ফলে অসুস্থ হাতিটির চিকিৎসার জন্য স্থানীয় পরিবেশপ্রেমীরা বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন। হাতি সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে পাথারকান্দি আঞ্চলিক বন বিষয়ক ইনচার্জ দেবজ্যোতি নাথের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন , বর্তমানে অসুস্থ হাতিটিকে সুস্থ করে তোলার জন্য বিভাগ থেকে সব ধরণের তৎপরতা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।অসুস্থ হাতিটি বেশী বয়সের কারনে বর্তমানে অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিষয়টি ডিএফও মারফৎ বনমন্ত্রীর নজরেও আনা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে পাথারকান্দিতে বুনো হাতিদের তান্ডব নতুন নয়। বিগত দিনে এই দলে মোট নয়টি মহিলা হাতি থাকলেও চারটি হাতির ইতিমধ্যে নানা কারনে মুত্যু হয়েছে।বর্তমানে বেঁঁচে আছে সাকুল্যে মাত্র পাঁঁচটি হাতি। আর এদের একটি হাতি বর্তমানে মরনাপন্ন অবস্থায়।অথচ বিষয়টি নিয়ে বনমন্ত্রী অবগত থাকা সত্বেও কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ বিশেষ মহলের।